মুসলিম পোর্ট

১. দখলদার ইজরায়েলকে আরব দেশ সমূহের স্বীকৃতি প্রদান তথা নরমালাইজেশন আটকে দিয়েছে হামাস।

২. ইজরায়েলি সৈন্যদের বর্বরতা সমূহ নতুন করে সামনে এনে দখলদার গোষ্ঠীকে নির্মূলের ডাক তোলা হয়েছে। এবং ইজরায়েলের দাবী করা নিজেদের ক্ষমতা ও সক্ষমতাকে ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।

৩. হামাস কর্তৃক তিন শতাধিক ইজরায়েলি সৈন্য ও অফিসারকে বন্দী করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন বেসামরিক ব্যক্তি ছাড়াও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং এরিয়া কমান্ডারের সংখ্যা অন্তত দেড়শো জন। এর মাধ্যমে মূলত হামাস নিজেদের সক্ষমতার জানান দিয়ে দখলদার গোষ্ঠীর দীনতাকে প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে।

৪. অবরুদ্ধ গাযা উপত্যকায় নতুন চারটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন এবং গাজার সাথে বাইরের সংযোগ শক্তিশালী করা হয়েছে। যেখান থেকে যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

৫. ইজরায়েলের অত্যাধুনিক পঞ্চাশটিরও বেশি ট্যাংক ধ্বংস করে দিয়েছে হামাস।

৬. মোসাদ সদর দফতরে ঝড় তোলা ছাড়াও গাজা এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে মোসাদ কর্মীদের নাম সম্পর্কিত সমস্ত নথি প্রকাশ করেছে হামাস। যা মূলত বিশ্বের সামনে কথিত শক্তিধর মোসাদের দূর্বলতাকে দারুণভাবে প্রমাণ করে দেওয়া হয়েছে।

৭. গাজা সীমান্ত প্রাথমিকভাবে চল্লিশ কিলোমিটার সম্প্রসারণের জন্য হামাস ইতোমধ্যেই ইজরায়েলি অফিসারদের সাথে থাকা লাইট রাডার এবং বেতার ডিভাইস সমূহ দখলে নিয়ে নিয়েছে। এবং ক্যাম্পের অস্ত্রগুদাম দখলসহ বড় রাডারসমূহ ধ্বংস করে দেয়।

৮. হামাসের পরিচালিত এই অপারেশন তুফানে এখন পর্যন্ত পনের হাজারেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী দখলদার রাষ্ট্র ইজরায়েলকে আঘাত করা হয়েছে।
যার ফলে আশকেলন শহরসহ গাজার আশেপাশের প্রায় অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি জায়নবাদীকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।

৯. এখন পর্যন্ত হাজার পাঁচশেরও অধিক উগ্র ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়।

১০. আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের, বিশেষ করে জি-৭ দেশগুলিকে কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে হামাসের এই অভিযানের মাধ্যমে। কারণ তারা অপারেশনের আগে আল-কাসামের উদ্দেশ্য ও সক্ষমতা সম্পর্কে কোনো ধারণাই করতে পারেনি।

১১. ফিলিস্তিন সংকটটিকে আরব, মুসলিম দেশ সমূহ এমনকি পশ্চিমা জনগণের মধ্যেও পুনরায় জোরালোভাবে সামনে নিয়ে এসেছে হামাস।

১২. সমস্ত আরব দেশ থেকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহারের দাবীও জোড়ালো হয়ে উঠেছে হামাসের পরিচালিত এই অপারেশনের ফলে।

১৩. মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘসহ পশ্চিমা গোষ্ঠীর হিপোক্রেসি সমূহ পৃথিবীর সামনে নতুন করে উন্মোচিত হয়েছে। যা মুসলিম উম্মাহকে একটি “ইসলামিক ইউনিয়ন” প্রতিষ্ঠার প্রতি তরান্বিত করে তুলছে।

১৪. সমগ্র পৃথিবীতেই স্থানীয় ও আঞ্চলিকভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন উদ্যোগ অথবা সংস্থা , সংস্থার প্রধান, গুরুত্বপূর্ণ পদপদবীতে থেকে আরব ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুনাফিক ও বিশ্বাসঘাতক জায়নবাদীদের পদচ্যুত করা হচ্ছে।

১৫. অক্টোবরে ৭ তারিখ থেকে ইজরায়েল শতাব্দীর সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে পতিত হয়েছে। এবং এর শেষটাও মুসলমানদের অদৃশ্য বিজয় নিয়ে আসবে বলে হামাস আশাব্যক্ত করে। (ইনশাআল্লাহ)

সর্বপরি, হামাস এই অপারেশন পরিচালনার মধ্য দিয়ে সমগ্র মুসলিম উম্মাহতে জিহাদ ও শাহাদাতের চেতনা পুনরুজ্জীবিত করেছে এবং উম্মাহর আত্মায় এটি ছড়িয়ে দিয়েছে যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নেয়া আমানত সমূহ রক্ষা করাই হলো ঈমানের প্রধান দাবী…