আল্লামা শিবলী নোমানী উম্মাহর এমন একজন মহান আলেম ছিলেন, যিনি নিজেই জ্ঞান ও চিন্তার ক্ষেত্রে একটি অভূতপূর্ব টার্নিং পয়েন্টের জ্বলন্ত সাক্ষী ছিলেন। তিনি আধুনিক যুগের প্রারম্ভে ঐতিহ্যকে ধারণ করে এগিয়ে চলা মুসলিম জ্ঞান ও চিন্তার গতিধারায় নতুন প্রাণ সঞ্চারের প্রয়াস চালান। পাশ্চাত্য হতে ছুটে আসা চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে ইসলামী সভ্যতার জ্ঞানের ধারাকে আরো শানিত ও শক্তিশালী করার যাবতীয় প্রচেষ্টা চালান জীবনভর। একই সাথে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের জ্ঞানের মাঝে সম্মিলন ঘটানোর, তার মাধ্যমে যুগের চাহিদা মোকাবেলা করে স্থবিরতা থেকে উত্তরণের জন্য নতুন শিক্ষাপদ্ধতি প্রনয়ণ এবং শিক্ষাঙ্গনও প্রতিষ্ঠা করেন। তার অসামান্য অবদানে সৃষ্ট নিম্নোক্ত তিনটি জ্ঞানের ধারা উপমহাদেশে শত বছরেরও অধিক কালব্যাপী দিক দর্শন করে চলছে-
১. আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় বা আলীগড় আন্দোলন
২. নফওয়াতুল উলামা
৩. দারুল মুসান্নিফীন বা আল্লামা শিবলী একাডেমি।
শত তাসলীম ওহে জ্ঞানের মুজাহিদ!!