১৮৭১ সালে নৌকাযোগে সর্বপ্রথম মুসলমানরা কানাডার পূর্ব উপকূলে পৌছায়। কানাডার আদমশুমারি অনুযায়ী, ১৯৩১ সালের মধ্যে ৬৪৫ জন মুসলিম বাসিন্দা কানাডায় নিবন্ধিত হয়েছিলেন।১৯৩০-এর দশকের গোড়ার দিকে, মুসলিম মহিলাদের একটি দল এডমন্টনের মেয়র জন ফ্রাইকে অনুরোধ করেছিল যেনো তাদেরকে একটি জমি প্রদান করা হয়। যাতে এডমন্ট শহরের ক্রমবর্ধমান মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি মসজিদ তৈরি করা যেতে পারে।
আলবার্টার এডমন্টনে নির্মিত আল-রশিদ মসজিদটি কানাডায় নির্মিত প্রথম মসজিদ। হিলভি ত্বহা জুমহা হামদন প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে এডমন্টনের মেয়র জন ফ্রাইয়ের সাথে মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি কেনার বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য তার বন্ধুদের সাথে মিলে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলমানদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছিলেন।
মসজিদটি ইউক্রেনীয়-কানাডিয়ান ঠিকাদার মাইক ড্রেউথ কর্তৃক পূর্ব খ্রিস্টান (ইউক্রেনীয় ক্যাথলিক এবং অর্থোডক্স) অভিবাসী গীর্জার অনুরূপ শৈলীতে নির্মিত হয় এবং ১২ ডিসেম্বর, ১৯৩৮ সালে চালু করা হয়। মসজিদটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআনের ইংরেজি ব্যাখ্যার জন্য বিখ্যাত আবদুল্লাহ ইউসুফ আলী সহ মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কানাডার আর রশিদ মসজিদ আমাদের আরো একবার স্মরণ করিয়ে দেয়- দুনিয়ার আনাচে কানাচে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করতে মুসলিম নারীরা তাদের সাধ্যানুযায়ী সর্বোচ্চটা করে নজির স্থাপন করে গিয়েছেন। কানাডার মাটিতে লেবাননের মুহাজির হিলভি হামদনের নেতৃত্বাধীন মুসলিম নারীদের এই অসামান্য কীর্তি কানাডার ইসলামের ইতিহাসে উজ্জ্বলতম মাইলফলক হয়ে থাকবে।
সংকলন- নাজিফা আনজুম