কায়রোতে ১১তম ডি-৮ এর শীর্ষ সম্মেলন: আশা ও আকাঙ্খায় পূর্ণ ঐক্যের জোট
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত হলো ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন। ডি-৮, যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত, একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা যা বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত।
সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য
এই বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইনভেস্টিং ইন ইয়ুথ অ্যান্ড সাপোর্টিং স্মল মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, শেপিং টুমরো’স ইকোনমি’। এই প্রতিপাদ্যটি ভবিষ্যতের অর্থনীতির জন্য যুব ও ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোগের (এমএসএমই) গুরুত্বকে তুলে ধরে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি উপস্থিত ছিলেন। যারা সমানভাবে পারস্পারিক সহযোগিতায় এক মত হোন।
সম্মেলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা তৈরি করা। নেতারা বিভিন্ন বৈঠকে মিলিত হয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাণিজ্য বৃদ্ধি, এবং যুব ও ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোগের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে ডি-৮ সদস্য দেশগুলো একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যুব ও ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোগের উন্নয়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ডি-৮ এর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
এই সম্মেলনটি ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। আশা করা যায়, এই সম্মেলনের মাধ্যমে গৃহীত পদক্ষেপগুলো সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী ডি-৮ জোট গঠনে সহায়ক হবে।