গাজা গণহত্যায় ই জ রায়ে লের সাথে নেমেছে ভারতীয় সেনারাও!
পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে যে পরিমান নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, বিগত ১৪৩ দিনের হা মা স – ইজ রা ইয়েল যুদ্ধেই এর চেয়ে ৬ গুণ বেশি নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে বর্ণবাদী সেনারা। এজন্য বলাই যায়- দখলদার ইজ রায়ে লি সৈনিকদের একটি পছন্দনীয় কাজ হচ্ছে শিশু হত্যা। এরা শিশুদেরকে হত্যা করে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পায়। একজন ফিলি স্তি নি শিশুকে হত্যা করতে দখলদার সৈন্যরা প্রতিযোগিতা করে যে কে কার আগে গুলি করতে পারে, বিষয়টি যেন ঠিক এমনই।
আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, বর্ণবাদী ইজ রায়ে লিদের সাথে এই জঘন্য মিশনে ভারতীয় সেনারাও যোগদান করেছে। ফিলিস্তি নিদে রকে নির্মূলের জন্য অংশগ্রহণকারী ইজ রায়ে লের অভিবাসী শত শত ভারতীয়রা যারা ইজরা য়েলি সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করেছে। এছাড়াও এটি খুব কম মানুষই জানেন যে গা জার বর্তমান আগ্রাসনের সময় প্রথম যে ইজরায়লি সৈন্য নিহত হয়েছিল সেও ভারতীয় ছিলো যা এই গণহত্যা চলাকালে মিডিয়াগুলো সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইজ রায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধের জন্যই কেবল দায়ী নয় বরং তারা ইজরা য়ে লের জাতিগত সমস্যার তথ্যও ভারতীয়দের নিকট এমনভাবে প্রচার করেছে যে ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে ইজ রায়ে লে হামা স আন্দোলনের বিরুদ্ধে নিয়ে গেছে। প্রায় ২০৬ জন বিশেষ ব্যাক্তিকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে। এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, তাদের গণহত্যা অভিযানগুলি ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমেই হয়েছে।
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে যে, ইজ রা য়েল এবং ভারতের মধ্যে কয়েক বছর ধরে গোয়েন্দা সহযোগিতা চলমান রয়েছে। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি যে, ভারতীয় কিছু ব্যাক্তিদের থেকে জানা যায়, ভারতে ইজরা য়েলি রাষ্ট্রদূত বলছিল যে তিনি ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবক পেয়েছে তা দিয়ে তিনি একটি সম্পূর্ণ ইজ রায়েলি সেনাবাহিনী তৈরি করতে পারবে। যারা মুসলমানদের যেখানেই খুঁজে পাবে তাদের হত্যা করতে করবে।
এবার ভারতীয় ইহুদি সৈন্যদের নিয়ে আলোচনা করা যাক, যারা বর্তমানে গা জায় ফি লি স্তি নিদের হত্যা করছে এবং স্কুল ও মসজিদ উড়িয়ে দিচ্ছে, পাশাপাশি ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে ই জরা য়েলের গণহত্যাগুলো সংগঠিত করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে, যারা বিভিন্ন তথ্য ও নিজেদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে মোদি সরকারকে সাহায্য করছে এবং ভারত ও কাশ্মীরে গণহত্যা চালনা করতে নীলনকশা তৈরি করতে সাহায্য করছে।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে,
গা জা য় ইজরা য়েলের বর্বরতা মোদি সরকারের জন্য অনুপ্রেরণার একটি বড় উৎসের নাম। এছাড়াও ভারত সরকার গা জায় ইজ রায়েলি সামরিক বাহিনী মোতায়েনের কৌশল এবং পন্থাগুলো খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ইজরা য়েলি সরকারের দ্বারা ব্যবহৃত প্রচারমূলক বিভিন্ন কর্মসূচীগুলো অনেক বিশেষজ্ঞ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, কাশ্মীরের মুসলমানরাও এরূপ জাতিগত নির্মূল হওয়ার মতো বড় বিপদের মধ্যে রয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে কাশ্মীরের জন্য ভারতের গণহত্যার পরিকল্পনাগুলি দুর্ঘটনাক্রমে ২০১৯ সালে প্রকাশ পেয়েছিলো যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন ইজ রায়েলি কূটনীতিক স্থাপন করে এবং সে বলে, ভারত সরকার মুসলিম জনসংখ্যাকে জাতিগতভাবে উৎখাত করতে এবং ভারতীয় হিন্দুদের পুনর্বাসনের জন্য ইজরায়েল বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কিছুদিন আগেও একটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে ভারতীয় সৈন্যরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে তিন বেসামরিক নাগরিককে নির্যাতন করে হত্যা করে কারণ মোদি সরকারের থিম হলো যে ইজরা য়েল যদি অবৈধভাবে দখল করা অঞ্চলে হত্যা করে পালিয়ে যেতে পারে, তবে ভারতও এমনটা করতে পারবে।
এটা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ যে, যেখানে গাজা গণহত্যা লক্ষ লক্ষ ইউরোপীয় এবং আমেরিকানরা ইজরা য়েলকে বয়কটের আন্দোলনে যোগদানের জন্য একত্রিত হয়েছে, সেখানে একই গণহত্যা লক্ষ লক্ষ হিন্দু জাতীয়তাবাদ ভারত, কাশ্মীর এবং ফিলি স্তি নে মুসলিমদের গনহত্যার মাধ্যমে নির্মূল করার স্বপ্ন দেখছে। ভারত সরকার হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ এবং ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইজরা য়েলের বিরুদ্ধে হা মা সের প্রতিরোধ অভিযানকে ভারত ও ইজ রায়েল একটি অভিন্ন শত্রু এবং একটি অভিন্ন সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের দিকে ধাবিত করেছে। হিন্দুদের নির্যাতিত হওয়ার মাধ্যমকে তারা একত্রিত হওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইজরায়ে লের মতে, ইসলাম এবং মুসলমানরা যে কট্টরপন্থী জিহাদি ইসলামী আন্দোলনকে ধারণ করে আমরাও সেই চিন্তাকে লালন করি। ইজ রায়েল আমাদের সবার পক্ষ থেকে এই যুদ্ধে লড়াই করছে। আমার আপনার জন্য ইজরা য়ে ল এই যুদ্ধ করছে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, লক্ষ লক্ষ হিন্দু ঘরে বসে ইজ রায়েলপন্থী প্রচারের মাধ্যমে উগ্রপন্থী হয়ে উঠছে অর্থাৎ ইজ রা য়েল এখানে অন্যদেরকে যুদ্ধ করতে উদ্ধুদ্ধ করছে। শত শত ভারতীয় ইহুদি ইজ রা য়েলে পাড়ি জমাচ্ছে ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে এবং ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতে।
গা জায় ইজ রায়ে লি বাহিনী কিছু ধর্মীয় প্লাটুন এবং কোম্পানিগুলির পৃষ্ঠপোষকতারা মাধ্যমে সবচেয়ে জঘন্যতম নৃশংসতা ও গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় অভিবাসীরা যারা ইজ রায়ে লি সামরিক বাহিনীর কুখ্যাত গালানি ব্রিগেডের সদস্য, একটি ক্র্যাক ইউনিটের সমন্বয়ক। যাদের বিরুদ্ধে ফিলি স্তিনি নারী ও শিশুদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। যখন এই গণহত্যাগুলি সংঘটিত হচ্ছে তখন ভারত সরকার ফিলিস্তিনিদের সম্পর্কে মিথ্যা এবং বানোয়াট গল্প তৈরি করছে এবং তা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে ইজ রা য়েলকে সাহায্য করার জন্য তারা অনলাইন ট্রল আর্মি ব্যবহার করছে।
আজ আমরা যদি ইজ রায়ে লের এই আগ্রাসনের সময় ভারতীয়দের দিকে তাকাই তাহলে স্পষ্টই দেখতে পাই ভারত এবং ইজ রায়ে লের মধ্যে সমন্বয়সাধনও মোদি এবং নেতানিয়াহু সম্পর্কের সাথে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছে।
এছাড়াও একে অপরকে নিরাপদ চুক্তিতে সহায়তা করতে সর্বোচ্চটা করছে। সুতরাং স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে ভারত ইজ রায়ে লের সাথে কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ।
এদিকে দখলদার ইজ রায়ে ল সরকার স্থায়ীভাবে ফিলি স্তি নি শ্রমিকদেরকে বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত করতে এবং বিভিন্ন দেশের শ্রমিককে ফি লিস্তি নে স্থায়ী করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এছাড়াও অন্তত ৯১,০০০ শ্রমিককে তারা তারা ফি লি স্তিনে ভিড়ানোর পরিকল্পনা করেছে যার প্রায় ৮৫ শতাংশই হলো ভারতীয়। ভারত ও ইজ রায়ে লের মধ্যে কী ঘটছে জানা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বোমা পড়া বন্ধ হওয়ার পরেও গা জায় গণহত্যা চলতে থাকবে কেননা চলমান যুদ্ধে যে সকল ফিলিস্তি নিরা বেঁচে থাকবে তাদেরকে জোরপূর্বক মিশরে তাড়িয়ে দেওয়ার একটা পদক্ষেপ নিয়েছে ইজরা য়েল সরকার। এই পদক্ষেপে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রকে আরও অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমস্যার মুখোমুখি করবে, ঠিক সেই সময় দখলদার রাষ্ট্রটিকে তাদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ভারতের মতো শক্তিশালী বন্ধু এবং মিত্রদের প্রয়োজন হবে।
তাই যদি ফি লি স্তিনি জনগণের মুক্তির জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালাতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই ভারতীয় পণ্যগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে এবং ইজরায়েল বয়কট আন্দোলনের সাথে ভারতীয় পণ্যকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এটি কেবল ফি লি স্তি নিদের দখলদার জুলুমের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্যই করবে না বরং ভারতের মুসলমানদেরকে হিন্দুদের সহিংসতা থেকে রক্ষা করতেও শতভাগ কার্যকরী একটি পদক্ষেপ হবে।
সংকলনঃ আব্দুল্লাহ আল মুঈন