মুসলিম পোর্ট

খাদের আল-বায়েদ, গাজার একজন ষাটোর্ধ মিউজিশিয়ান৷ ফিলিস্তিনিদের উপর দখলদার ইসরায়েলি আগ্রাসনের জীবন্ত সাক্ষী। আর মিউজিক তার কাছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিরোধের এক মাধ্যম।

ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকলেও পথ দেখানোর তেমন কেউ ছিলো না। কেউ তার প্রতিভাকে অগ্রসর করবে, গাজার আর্ট বা কালচারাল মিউজিক শিক্ষা দিবে, তিনি তেমন কাউকে পান নাই। ফলে অনেক কষ্ট ও ত্যাগের মধ্যেই তার সংগীত চর্চার এই পথকে পাড়ি দিতে হয়েছে। তাই এখন নিজের থাকার কক্ষকেই সংগীতের দুনিয়ায় রূপান্তর করেছেন, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম সহজে গাজার কালচারাল মিউজিকের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।

গাজায় একজন মিউজিশিয়ান হওয়াটা খুব একটা সহজ পথ না যেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুধু মাত্র ফিলিস্তিনের জমির দখল না, তাদের সমৃদ্ধ কালচারের উপরেও চলে।

খাদের জানান, তারা সাধারণত বিয়ের অনুষ্ঠান গুলোতে সংগীত পরিবেশন করেন এবং এগুলো উৎসবে পরিণত হয়ে যায়। আর এখান থেকেই দখলদারি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নতুন উদ্যমে প্রতিরোধের স্প্রিহা তৈরী হয়। যা পরবর্তীতে তাকে ফিলিস্তিনিদের উপর হাওয়া শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রহের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ পরিণত করে।

স্মৃতিচারন করতে গিয়ে খাদের বলেন, “আমাদের দলের এক বিল্পবী সংগীত লেখককে ইসরায়েলি বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সে কারাগারে তার কক্ষ থেকে আমাদের কাছে গানের লিরিক্স পাচার করতো। আমার সেটিকে সংগীতে রূপান্তর করতাম এবং মাতৃভূমির জন্যে, ফিলিস্তিনের জন্যে যে ভালোবাসা তা জাগ্রত রাখার চেষ্টা করতাম।”