মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস সমূহের একটি হলো জান্নাত। মূলত এটি অর্জনের উদ্দেশ্যেই আমাদের পথচলা। জান্নাতের সাতটি স্তর রয়েছে। তবে আমরা আমাদের মাথার উপর যে আকাশ আমরা দেখতে পাই, এখানেও কিন্তু রয়েছে সাতটি স্তর! মাথার উপরের এই আসমান আসলে মহাবিশ্বের বিশালতা এবং আল্লাহর শক্তি ও মহিমাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
১/ জান্নাত আল আদানঃ
জান্নাতের প্রথম স্তর হল জান্নাতুল আদান। আদান শব্দের অর্থ হলো ‘বাসস্থান’ এবং ‘অনন্ত স্থান’।

২/ জান্নাতুল ফিরদাউসঃ
জান্নাতুল ফিরদাউস হলো জান্নাতের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্তর। ফেরদৌস শব্দের অর্থ হল “যে বাগানে সব ধরনের গাছপালা আছে”।

৩/ জান্নাত আন নাঈম:
নাঈম মানে হলো একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ জীবন, সুখ এবং সম্পদের প্রাচুর্যে বসবাস।

৪/ জান্নাত আল মাওয়া:
জান্নাতের চতুর্থ স্তরটির নাম হলো জান্নাতুল মাওয়া। এখানে মাওয়া শব্দের অর্থ হল “আশ্রয়স্থল, বাসস্থান, বাড়ি”।

৫/ দারুল খুলদ:
জান্নাতের পঞ্চম স্তরকে বলা হয় দারুল খুলদ। খুলদ অর্থ চিরন্তন, অনন্তকাল বা চিরস্থায়ী হওয়া।

৬/ দারুল মাকাম:
ইসলামী স্কলারদের মতে দার উল মাকাম হল জান্নাতের ষষ্ঠ স্তর। যার অর্থ হলো “চিরস্থায়ী ভাবে থায়ার স্থান”, অর্থাৎ চিরস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য একটি ভূমি বা বসবাসের নিরাপদ স্থান।

৭/ দার উস সালামঃ
জান্নাতের সপ্তম স্তরের নাম হলো দারুস সালাম। দারুস সালাম মানে “শান্তি ও নিরাপত্তার ঘর”

আল্লাহ বলেন- “নিশ্চয়ই আমরা প্রথম আসমানকে গ্রহ, নক্ষত্রের সৌন্দর্যে সজ্জিত করেছি”
পবিত্র কুরআন, আস-সাফফাত, ৩৭/৬

আল বুখারী বলেনঃ
“জান্নাতের একশ স্তর রয়েছে এবং প্রতিটি স্তরের মধ্যে রয়েছে পৃথিবী ও আকাশের দূরত্বের মতো দূরত্ব”

সংকলনঃ আব্দুল্লাহ আল মুঈন