ঠিক এই মুহূর্তে সুদানের অভ্যন্তরীণ অবস্থা অনেকেরই জানা। দুমাস পূর্বে সুদানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে, আল-নাহাদা হসপিটাল খার্তুমের, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ফাতেহ আল-রহমান বলেন, অবস্থা প্রতিনিয়তই খারাপ থেকে অধিক পরিমাণে খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সুদানের নাগরিক জীবন রীতিমতো জাহান্নামে পরিনত হয়েছে।
United Nations High Commissions for Refuses এর তথ্য অনুসারে গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ৮ লাখ সুদানি নাগরিক নিজ দেশ থেকে হয়েছে উদ্বাস্ত। দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ। দেখা দিয়েছে নিরাপদ গ্যাস, পানি, জ্বালানি আর বিদ্যুতের সংকট। ২৬ শে এপ্রিল ২০২৩ সালে প্রকাশিত সিএনএন এর এক প্রতিবেদন বলে, রাজধানী খার্তুমে এখন পর্যন্ত নিহাতের সংখ্যা ৪৫৯ জন এবং আহত চার হাজারেরও বেশি।
United Nation food program জানিয়েছে এই যুদ্ধের ফলে খাদ্য সংকটে আছে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। আরেক তথ্য মতে, সুদানের প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ যারা দেশটির জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। তারা সংঘর্ষ হওয়ার আগ থেকেই মানবিক বিভিন্ন সাহায্যের উপর নির্ভরশীল ছিল। এবং এই সংকটের ফলে মায়েরা তাদের সন্তানদের পদ্মফুল খাওয়াচ্ছে। দুঃখজনক হলে এটা সত্য তারা মানিয়ে নিচ্ছে। কারণ তাদের কাছে যথেষ্ট খাবার নেই। সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ধরনের মানবিক খাদ্য এবং চাহিদা যোগানে আরো তীব্রভাবে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো-
সুদানের বিদ্যমান ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণটা কি? এর পিছনে আসলেই কারা দায়ী? কারা সুদানের বর্তমান সংঘাত কে প্রবাহিত করছে?
১৫ এপ্রিল ২০২৩ এর সকালে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের দখলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে সুদানের রাজধানীর খার্তুমে শুরু হয় SUDANESE ARMED FORCES (SAF) এবং RAPID SUPPORT FORCES (RSF) মধ্যেতুমুল সশস্ত্র সংঘর্ষ। উল্লেখ্য সুদানিস আর্ম ফোর্সেস এর নেতৃত্বে আছেন, ‘জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহান’ যিনি ২০১৯ সাল থেকে সুদানের সেনা প্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করে আসছে। অন্যদিকে রেপিট সাপোর্ট ফোর্সেস এর নেতৃত্বে আছেন, ‘জেনারেল মোঃ হামদান দাগালো’ যারা অবস্থান ‘জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল বুরহান’ এর চেয়ে একধাপ নিচে মূলত তিনি হচ্ছে সুদানের ভাইস প্রেসিডেন্ট। যদিও (RSF) সুদানের একটি প্যারামিলিটারি গ্রুপ তবুও জেনে রাখা ভালো এই প্যারামিলিটারি গ্রুপের ট্রেনিং, কৌশল, কার্যবিধি প্রায় সেনাবাহিনীর মতোই। কিন্তু তারা দেশের অফিসিয়াল সেনাবাহিনী নয়। পুলিশ অথবা সেনাবাহিনী দেশের কোন বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করতে অপারগ অথবা অনিচ্ছুক হলে সাধারণত এই প্যারামিলিটারি বাহিনী সেই অপারেশনে যুক্ত হয়।
যদিও বোঝা যাচ্ছে সুদানের বর্তমান পরিস্থিতি প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার লড়াইয়ের জন্য তবুও এই গল্পে এরাই একমাত্র চরিত্র নয়। সুদিনের বর্তমান সংকট বুঝতে হলে আমাদের সুদানের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং কাঠামো সম্পর্কে একটু ধারণা রাখা প্রয়োজন। সুদানের রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছে প্রেসিডেন্ট। সুদানের প্রেসিডেন্ট দুইভাবে নির্ধারিত হয়। প্রথমত, রাজনৈতিক দল থেকে উঠে আসা বেসামরিক কোন ব্যক্তি অথবা সামরিক বাহিনী থেকে উঠে আসা কোন সেনা কর্মকর্তা। সুদানের প্রধানমন্ত্রীও রয়েছে, যিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে উঠে আসেন।
সালটা ১৯৮৩ শুরু হয়েছে দ্য সেকেন্ড সুদানিস সিভিল ওয়ার যা মূলত দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতা আন্দোলন। গৃহযুদ্ধের কারণে সুদানের রাজনৈতিক অবস্থা কিন্তু তখন বেশ নড়বড়ে ভঙ্গুর রাজনৈতিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে ১৯৮৯ সালের ৩০ জুন একটা রক্তপাতহীন সামরিক বিপ্লব হয়। যে বিপ্লবের মাধ্যমে মিলিটারি অফিসার ‘ওমর আল-বশির’ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ‘সাদিক আল-মাহাদি’ কে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেন এবং রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন। রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদটি কে বিলুপ্ত করে ফেলেন। তিনি হয়ে উঠেন সুদানের স্বৈরশাসক। তিনি ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কোন ধরনের বেসামরিক জনপ্রতিনিধি ছাড়াই রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। তার ক্ষমতা কালেই ২০১১ সালে সুদান ভেঙ্গে আরেক নতুন রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানের জন্ম হয়। পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ ২০১৯ সালে স্বৈরশাসক ‘ওমর আল-বশির’ সুদান আর্মির ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেন সুদানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ‘আব্দুল পাত্তাহ আল-বুরহান’ কে। এবং নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার দুই মাস পরেই ‘আব্দুল পাত্তাহ আল-বুরহান’; ‘জেনারেল মোঃ হামদান দাগালো’ এর সাথে জোট বেঁধে ‘ওমর আল-বশির’ কে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ওমর আল-বশিরের এই গল্পে আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহান আর জেনারেল মোঃ হামদান দাগালো এলো কিভাবে?
সুদান সরকারের পক্ষ হয়ে সুদানের দারফুর অঞ্চলে সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট এবং জাস্টিস অ্যান্ড ইকিউলিটি মুভমেন্টের বিদ্রোহী দমনে জেনারেল মোঃ হামদান দাগালোর (RSF) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী দমন করতে গিয়ে (RSF) এর বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, ধর্ষণ, জাতিগত নিধনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সুদান সরকারের হয়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহি দমনে সৌদি আরব একটি কোয়ালিশন ফোর্স গঠন করে। ২০১৫ সালে এই কোয়াটিশন ফোর্স এর অংশ হিসেবে সুদানিস আর্মিও ইয়েমেনে অপারেশন চালায়। এই অপারেশনে SUDANESE ARMED FORCES (SAF) এবং RAPID SUPPORT FORCES (RSF) একসাথে অংশগ্রহণ করে। এই অপারেশনটি আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং জেনারেল মোঃ হামদান দাগালোর যৌথ নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। স্বৈরশাসক ‘ওমর আল-বশির’ ক্ষমতায় এসেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ‘সাদিক আল-মাহাদি’ কে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার মাধ্যমে। বশির যেহেতু সেনা হস্তক্ষেপ এর মাধ্যমে একজন শাসক কে উচ্ছেদ করেছেন সেহেতু এই সত্য টুকু তিনি বেশ ভালোই বুঝতে পারছিল কালক্রমে সে নিজে হতে পারে এমন হস্তক্ষেপের শিকার। যে কারণে চেক এন্ড বেলেন্স হিসেবে তিনি সেনাপ্রধান আব্দুল পাত্তাহ আল- বুরহানের পাশাপাশি রাখেন জেনারেল মোঃ হামদান দাগালো – কে। সময়ের ব্যবধানে এই দাগালো হয়ে ওঠে তার সবচেয়ে কাছের মানুষ। এবং তাকেই কাছের মানুষ বানানোর উদ্দেশ্য একটাই যদি সামরিক বাহিনী বশির কে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চাইও (RSF) যেন তখন বর্ম হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এই সময় কালে বশিরের অগোচরে আবার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে দাগালো আর বুরহানের। দুজনে মিলে ততদিনে নেতৃত্ব দিয়েছে সুদানের বেশ কিছু অপারেশন এই দুইজন মিলেই পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল স্বৈরশাসক ‘ওমর আল-বশির’ কে ক্ষমতা থেকে করেছেন উৎখাত তখন প্রেক্ষাপট জুড়ে বসেছেন বুরহান এবং দাগালো। এবং দুজনের রেষারেষি ঠিক তখন থেকেই শুরু।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই ‘আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহান’ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের মত দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশ যেহেতু সাধারণত গণতান্ত্রিক ভাবধারা রাজনীতি চর্চা করে থাকে সামরিক জান্তা সরকার হিসেবে উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা জেনারেল বুরহানের পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে যায়। নিজের শাসন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক আঙ্গিক দেওয়ার জন্য ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে Transitional Sovereignty Council (TSC) নামে একটা ফেডারেল সরকার গঠন করেন তিনি। আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহান এই Transitional Sovereignty Council চেয়ারম্যান হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। বলাই বাহুল্য ‘জেনারেল মোঃ হামদান দাগালো’ হন ভাইস চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য এই যে, (TSC) গঠনের উদ্দেশ্য ছিল দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এই Transitional Sovereignty Council -এর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগেই কোয়ালিশনে থাকা বেসামরিক সরকারকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে বুরহান এবং দাগালো পাশাপাশি দমন পিরন চালায় সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা, মানবাধিকার কর্মকর্তা, রাজনৈতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবীদের উপরেও। তাদের জেলে বন্দী করা হয়, চালানো হয় নির্যাতন যা স্পষ্ট করে এই সেনা অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য। ২০২১ সালের পর সুদানের রাজনীতি ভিন্ন দিকে মোড় নিতে থাকে। ২০২১ সালে আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহান রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ওমর আল বশিরের কাছের লোকজনদের পুনরায় নিয়োগ দিতে থাকে যা জেনারেল মোঃ হামদান দাগালো -কে খানিকটা হলেও বিরক্ত করে। কারণ এই ফর্মুলাটা কিন্তু বেশ পরিচিত, স্বৈরশাসক ‘ওমর আল-বশির’ যেমন সেনা অভুত্থান থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য ‘জেনারেল মোঃ হামদান দাগালো’ এর সাথে ভালো সম্পর্ক করেছিলেন ঠিক তেমনি যেন আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহানের এই চাল। তাছাড়া আপনি যদি সুদানের রাজনীতি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ তথা পলিটিক্যাল এলিট সাধারণত রাজধানী খার্তুম এবং এর আশে পাশের এলাকা থেকে আসা। মোঃ হামদান দাগালো এসেছেন দারফুর থেকে যা সুদানের এক গ্রাম্য এলাকা যার ফলে অনেক সময় দাগালো -কে রাষ্ট্র পরিচালনায় আনফিট এমন কথাও বলা হয়েছে। এমন আত্মসামাজিক অবস্থা থেকে উঠে আসা একজন ব্যক্তি নিজেকে কত বছর ধরে জাতীয় নেতা হিসেবে উপস্থাপন করছে এবং তিনি যেহেতু গ্রামাঞ্চল থেকে উঠে এসেছে তাই নিজেকে পিছিয়ে পড়া মানুষদের নেতা হিসেবেও আখ্যায়িত করছেন।
এমনই প্রেক্ষাপটে সুদান কে গণতন্ত্রের দিকে ধাবিত করার লক্ষ্যে (RSF) সুদানের সেনাবাহিনীর সাথে মিলিত করার প্রয়াস সামনে আসে। সেনাবাহিনীর সাথে (RSF) এর ইন্টিগ্রেশন প্রক্রিয়া নিয়েই গত ১৫ এপ্রিল RSF এবং SAF এর সাথে শুরু হয় সশস্ত্র সংঘাত। যে সংঘাত ক্রমশই বাড়ছে পাহাড়ের মত স্তূপ জমছে লাশের। মানুষের অবস্থা হচ্ছে শোচনীয় অবস্থা ধীরে ধীরে কিন্তু আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। জেনারেল বুরহান সুদানি আর্ম ফোর্সেস-কে পরিষ্কার আদেশ দিয়ে দিয়েছেন যেন RSF -কে একেবারে ধ্বংস করে দেয়া হয় অন্যদিকে RSF ও কিন্তু পিছু হটার পাত্র নয়। জেনারেল বুরহানের দাবি হচ্ছে, তিনি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতার হস্তান্তর করা অন্যদিকে মোঃ হামদান দাগালোর দাবি সুদানের রাজনীতি খার্তুমের পলিটিক্যাল কাছে এলিটদের কাছে অক্ষিগত। তিনি সুদানের জনগণের পক্ষের লোক। তিনি চান পলিটিক্যাল এলিটিজমের হাত থেকে রক্ষা করতে।
২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের হওয়ার পর থেকে সুদান অনেকটাই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আইসোলেটেড অবস্থায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হয় তো তাদের জায়গা থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে সুদানের উপর মানবিক সংকট তৈরি করার জন্য। তবে এটা প্রায় নিশ্চিত, যুক্তরাষ্ট্র এই সংকটে সামরিকভাবে কোন যোগসূত্র রাখবে না। অনেক পশ্চিমা মিডিয়ার তথ্য অনুসারে, রাশিয়ার একটি বিখ্যাত মার্সেনারি গ্রুপ সুদানের RSF এর হয়ে যুদ্ধ করছে। তবে এটা কতটুকু সত্য এটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
তবে এটা কিন্তু সত্য কথা রাশিয়া অনেকদিন ধরে যাচ্ছে লোহিত সাগরে একটা নৌঘাঁটি স্থাপন করতে যেখান থেকে ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে। আল-জাজিরার তথ্য অনুসারে, সুদানিস আর্মি মিশর থেকে সাহায্য পেতে পারে অন্যদিকে RSF এর সাথে আরব আমিরাতের রয়েছে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
সংকলকঃ আফজাল হোসাইন আবির