গত ৭ অক্টোবর থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে ১৫,৫২৩ জন হয়েছে এবং ৪১,৩১৬ জন আহত হয়েছে৷ হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিহতদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া ক্যাম্পে বোমা হামলা চালানো হয়। এছাড়াও মিডিয়া সূত্রগুলি বলছে যে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় ৬০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। গাজা শহরের পূর্ব ও কেন্দ্রীয় একাধিক এলাকা বিশেষ করে খান ইউনুসে বিমান হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের দক্ষিণ গাজার নাসের এবং ইউরোপীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত এসকল হত্যাকান্ডকে শতাব্দীর জঘন্যতম গণহত্যা বলে অবহিত করেছেন।
এদিকে গাজায় সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩১৬ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী একদিনে ২৩টি গণহত্যা পরিচালনা করেছে। তারা আরো বলেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও শতাধিক লাশ পড়ে আছে।
মিডিয়া অফিস আরও জানিয়েছে যে অনুসন্ধানী বিমানগুলি “আল-ফারা” পরিবারের বাড়িতে বোমাবর্ষণ করেছে, যার ফলে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বাড়িটি খান ইউনুসের উত্তর-পূর্বে আল-কারারা শহরে অবস্থিত। খান ইউনুসের মা’আন পাড়ায় “আল-নাজ্জার” পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় দুইজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ১২ জন।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, রাফাহ শহরের ইয়াবনা ক্যাম্পে আল-হুমস পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ১০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
গাজা সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে যে, গাজা শহরের আশেপাশের এলাকায় পানি সরবরাহ যে কোনও মুহূর্তে জ্বালানি হ্রাসের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ডেস্ক রিপোর্ট, মুসলিম পোর্ট