ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ সাল। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক অবরুদ্ধ গাযা উপত্যকায় চালানো সামরিক আগ্রাসনের ১৫ বছর। একবিংশ শতাব্দীর ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার অন্যতম এ ট্রাজেডিকে উপজীব্য করে মুসলিম পোর্টের তরফ থেকে আজকের বিশেষ আয়োজন।
বিষয়বস্তু: ২০০৮সালের আজকের এই দিনে দখলদার ইসরায়েল গাযা উপত্যকায় তিন সপ্তাহব্যপী সামরিক আগ্রাসন চালায়; যাতে তারা ১,৪৪০ জন ফিলিস্তিনি মুসলিমকে হত্যা করে এবং ৫৪৫০ জন ফিলিস্তিনিকে আহত করে।
স্থান: অবরুদ্ধ গাযা উপত্যকা।
সময়কাল: ২৭ ডিসেম্বর, ২০০৮ থেক ১৮ জানুয়ারি, ২০০৯ সাল পর্যন্ত।
ঘটনা প্রবাহ:
২৭ ডিসেম্বর, ২০০৮ দখলদার ইজরায়েল গাযা উপত্যকার ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর এক সর্বাত্মক সামরিক আগ্রাসন পরিচালনা করে। আরো এক বছর আগে থেকেই ৩৬০ বর্গ কিলোমিটারের এ উপত্যকাটি ভূমি, আকাশ ও সমুদ্র এই তিন দিক থেকেই ইসরায়েলী অবরোধের মুখে পতিত ছিল।
শনিবার বেলা ১১ টায় ”অপারেশন ক্যাস্ট লিড’ কোডনেম দিয়ে সমগ্র অঞ্চলজুড়ে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তর উপরে দখলদার ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর মুহুর্মুহু গোলা বর্ষনের মাধ্যমে এই আগ্রাসনের শুরু হয়। প্রাথমিক হামলার সময়ই ৮০টি জঙ্গী বিমান এবং হেলিকপ্টার ডজন খানেক টার্গেটে ১০০ এর অধিক বোমা নিক্ষেপ করে। মাছ ধরা নৌযানের বিভিন্ন ছোট ছোট বন্দর এবং গাযার মূল পুলিশ স্টেশন ছিল উপর্যুপরি আকাশ হামলার প্রথম লক্ষ্যবস্তু।
আকাশ যুদ্ধ:
হামলার প্রথম এক সপ্তাহে গাযাকে বিদ্ধস্ত করে ফেলতে দখলদার ইজরায়েলি বাহিনী লাগাতার বিমান হামলা জারী রাখে। গোল্ডস্টোন রিপোর্ট (২৪-৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস, প্যালেস্টাইন কর্তৃক প্রকাশিত) অনুসারে- দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী “কমপক্ষে ৩০০ বিমান ও নৌ হামলা চালিয়েছে সমগ্র গাযা উপত্যকা জুড়ে। এসকল হামলায়- ৩৭ টি বাসভবন, ৬৭ টি সরকারি ভবন, ২০ টি ওয়ার্কশপ, ২৫ টি সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ৭ টি মসজিদ এবং ৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মূল লক্ষ্যবস্ত বানানো হয়।”
গাযা উপত্যকার পুলিশ স্টেশনগুলো বিশেষভাবে টার্গেটেড হামলার শিকার হয়। গাযার আরাফাত সিটিতে অবস্থিত পুলিশ সদর দপ্তর সহ আরো তিনটি থানা ২৭ ডিসেম্বরে হামলার প্রথম প্রহরেই আক্রমণের মুখে পরে যায়। জাতিসংঘ রিপোর্ট অনুসারে- ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের ফলে, গাযা পুলিশ বাহিনীর ২৪৮ জন সদস্যকে মেরে ফেলা হয়। যার মানে, প্রতি ছয় জন নিহতের মধ্যে গড়ে এক জনের বেশি ছিলেন পুলিশ অফিসার।
দখলদার বাহিনী যুদ্ধকে প্রলম্বিত করতে আরো ৬,৭০০ অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে। এই হামলা ইসরায়েলের নির্বাচনের মৌসুমে পরিচালনা করা হয়েছিল। তৎকালী প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্টের প্রতি একাত্মতা ও সংহতি প্রদর্শনে নির্বাচনের সকল প্রার্থী নিজস্ব প্রচারণা বন্ধ রেখেছিল। এই এহুদ ওলমার্টই বছর দুয়েক আগে লেবাননে যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছিল।
যুদ্ধের প্রকটতা বৃদ্ধি এবং স্থল আক্রমণ:
যুদ্ধের ৮ম দিনে অর্থাৎ, ৩ জানুয়ারি, ২০০৯ সালে, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনি গাযায় সরাসরি স্থল হামলা শুরু করে। কামান হামলা এবং বিমান হামলার সম্মিলিত আক্রমণের পর ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী অবরুদ্ধ গাযার উত্তর দিক দিয়ে প্রবেশ করে। এটা অবশ্যই স্মরণে রাখতে হবে যে, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের কোন ধরণের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিলনা। না কোন গোলন্দাজ বাহিনী, না অন্য কোন ভারী সমরাস্ত্র। না কোন ট্যাংক, না বিমান বাহিনী না নৌবাহিনী। কিছুই ছিলনা। সম্পূর্ণ খালি হাতে তাদের মোকাবেলা করতে হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে সুসজ্জিত হিংস্র দখলদার শক্তিটির বিরুদ্ধে।
জাতিসংঘ রিপোর্ট পর্যালোচনায় আরো বিশদভাবে উঠে আসে কীভাবে ইসরায়েলি দখলদারেরা গাযা উপত্যকাকে দুই ভাগে ভাগ করার চেষ্টা চালিয়েছিল- আল কাহনি ক্রসিং থেকে উপত্যকাটিকে পূর্বে এবং আল নুসরাত সিটি এবং দক্ষিণ গাযাকে উপকূল অর্থাৎ পশ্চিমে ভাগ করে নেয়া হয়। পদাতিক বাহিনী মোতায়েন পরবর্তী ৫ দিন উওর দিকে আল আতারা এবং বাইত লাহিয়া অঞ্চল ভারী আক্রমণের শিকার হয়। উক্ত রিপোর্টে আরো উঠে আসে যে, “ইসরায়েল এক্ষেত্রে মানবপ্রাচীর ব্যবহার করে যুদ্ধনীতির ভয়াবহ লঙ্ঘন করে। অবৈধ এ দখলদার শক্তিটি জনসাধারণের সাথে ভয়াবহ দুর্ব্যবহার করে, এমনকি এ থেকে বন্দীরাও রেহাই পায়নি। পাশাপাশি গাযা উপত্যকা হতে অগণিত সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে ইজরায়েলি কারাগারগুলোতে পুরে দেয়।”
ইসরায়েল কর্তৃক রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার:
যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে, ইসরায়েল রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে। তারা গাযার জনগণের উপর সাদা ফরফারাস দিয়ে হামলা চালায়, এমন ধরণের রাসায়নিক দ্রব্য, যা ঘন ধোয়ার সৃষ্টি করে এবং মানবদেহে ভয়ানক দহন ও নাযুক অঙ্গ গুলো বিকল করে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়।
প্রাথমিকভাবে ধূর্ত ইসরায়েল এসকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কিন্তু কিছু মানবাধিকার সংস্থা এর বিপক্ষে যথাযথ প্রমাণ হাজিরে করে ফেলে। ২০০৯ সালে এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রকাশিত এক রিপোর্টে উঠে আসে যে, “ইসরায়েলি বাহিনি মাত্রাতিরিক্ত সাদা ফসফরাস ব্যবহার করে, যা প্রায় ১৫৫ মিলিমিটার কামানের গোলায় ভরে নিক্ষেপ করা হতো। বিশেষত আবাসিক এলাকায়, যা জনসাধারণের জন্য মৃত্যুর কালোছায়া নামিয়ে নিয়ে আসত।” তাদের এ ধরণের হামলার মূল লক্ষ্যবস্ত ছিল-জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থা (UNRWA) এর গাযাস্থ সদর দপ্তর এবং আল কুদস হাসপাতাল। বাইত লাহিয়ায় অবস্থিত UNRWA পরিচালিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকা।
এমনেস্টির বিশ্লেষণ:
“সাদা ফসফরাস মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর, কেননা তা মাংসপেশি এবং হাড়ের মাঝে ভয়াবহ দহনের দৃষ্টি করে, এবং তা জ্বলতেই থাকে যতক্ষন না অক্সিজেনের সংস্পর্শ থেকে দূরে যাওয়া যায়। আর তা কখনোই সম্ভব নয়, কেননা অক্সিজেনের বিচরণ সর্বত্র। মানুষ অক্সিজেন ছাড়া বাঁচেও না। ফলাফল অসহ্য এই দহন নিয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যুমুখে পতিত হওয়া। এই রাসায়নিক দ্রব্য শরীরের অভ্যন্তরিণ বিভিন্ন সংবেদনশীল অঙ্গ প্রত্যঙ্গও বিকল করে দিতে সক্ষম। “
যুদ্ধবিরতি:
৮ জানুয়ারী, ২০০৯ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রেজুলেশন ১৮৬০ প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। যেখানে উপত্যকার ১৪-০ মার্জিনে যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা সন্নিবেশিত হয়। যদিও ইউনাইটেড স্টেট অব আমেরিকা এই ইস্যুতে ভোট প্রদানে বিরতি ছিল। এই রেজুলেশন “তাৎক্ষনিক, সহনশীল এবং পরিপূর্ন শ্রদ্ধাযোগ্য যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানায়, যা ক্রমে গাযা থেকে দখলদার ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দিকে ধাবিত করবে” মর্মে গৃহীত হয়।
এর পরেও যুদ্ধ আরো দশদিন ব্যাপী চলেছিল, পরিশেষে ২২ দিনের নির্মম হত্যাকান্ড ও ধ্বংসজ্ঞের শেষে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়। দীর্ঘ ছয় দশকের অধিক ইসরায়েলি দখলদারিত্বের ইতিহাসে এই লজ্জাজনক আক্রমণ একটি নজিরবিহীন ঘটনা। খোদ ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বে’ত সেলেম এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অপারেশন ক্যাস্ট লিড চলাকালীন দখলদার ইজরায়েলী বাহিনী ১,৩৯০ জন ফিলিস্তিনি মুসলিমকে হত্যা করে। যাদের মধ্যে ৩৪৪ জন নিষ্পাপ শিশু এবং ১১০ দশজন নারীও অন্তর্ভুক্ত। তাদের তথ্যমতে ৭৫৯ জন সাধারণ মানুষ কোন সংঘর্ষে না জড়ানো সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাকান্ডের শিকার হয়।
পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ:
২০০৮ সালে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত হবার পরে গাযা আর কখনোই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। গাযার অর্থনীতি ইতপূর্বেই ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ধুকছিল, তারপরও জাতিসংঘ রিপোর্ট করে যে, ইজরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের ফলে ” গাযাস্থ পরিবার গুলোকে একটি মানসম্মত জীবনযাত্রা প্রদানে সক্ষম এমন একটি অর্থনৈতিক অবকাঠামোর প্রায় সিংহভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে।”
তাদের ভাষ্যমতে-
-৭০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার সরাসরি ক্ষতির পরিমাণ ১৪০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার।
-কৃষিখাতে সরাসরি ক্ষতির পরিমাণ ১৭০ মিলিয়ন ডলার।
-উক্ত হামলায় ৩,৩৫৪ টি বাসবভন সম্পূর্ন ধংস হয়ে যায়। এবং আরো ১১,১১২ টি ঘর-বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসকল তথ্য ইউনাইটেড নেশন ডেভলপমেন্টে (UNDP) কর্তৃক প্রদত্ত। জাতিসংঘেরই একটি ভিন্ন সমীক্ষায় উঠে আসে যে, গাযা উপত্যকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সেই থেকে অদ্যাবধি গাযাকে লাগাতার অবরোধ করে উপত্যকার ২০০৮ সালে যুদ্ধের ফলে ধ্বসে পড়া অবকাঠামো পুনর্গঠনকে সর্বাত্মকভাবে প্রতিহত করে রাখছে দখলদার ইসরায়েল। মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে গাযায় ইসরায়েল পরবর্তীতে আরো দুই দুইবার আগ্রাসী হামলা চালায়। ২০১২ সালে এবং ২০১৪ সালের যুদ্ধ। এই তিন যুদ্ধে তারা ৪,০০০ এর অধিক ফিলিস্তিনি মুসলিমকে হত্যা করে।
আজকের দিনে,
-গাযার ২০ লক্ষ্য কর্মক্ষম জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ বেকার।
-দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে ৫৩ শতাংশ জনগন।
আজ গাযার জনজীবন, বর্ণনাতীত মানবিক সংকট ও সমগ্র দুনিয়ার সবচেয়ে বাজে এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে বাধ্য হচ্ছে।
এক দশক পরে এসে, ধূর্ত ও অপরাধ প্রবণ মনস্তত্বের অধিকারী ইসরায়েল তার দায়ভার অত্যন্ত নির্লজ্জ্বভাবে এড়িয়ে যেতে চায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে, দখলদার ইসরায়েলি একটি কোর্ট ইজ্জুদ্দীন আবু লাইস নামক এক ফিলিস্তিনি মুসলিম ডাক্তারের বিরুদ্ধে রায় দেয়। যিনি কিনা গাযা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলিয় জাবালিয়া শহরে তার বাসবভনে ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে তার তিন কন্যাকে হারান। আবু লাইসের ঘটনা বিখ্যাত হয়, যখন তিনি তার তিন কন্য- বাসান (১৩), মায়ার (১৫) এবং আয়া (২০) এর বিয়োগ বেদনার কথা একটি ইসরায়েলি টেলিভিশনে সাক্ষাতকারের মাধ্যমে তুলে ধরেন। তাৎক্ষনিক সে সাক্ষাতকার লাইভ সম্প্রচারিত হয়, এবং পরবর্তিতে সমগ্র বিশ্বব্যাপী শেয়ার হয় এবং জনমনে আবেদনের সৃষ্টি করে। সমগ্র বিশ্বমহলের সহানুভূতি এবং আবু লাইসের হৃদয় বিদারক বিয়োগ বেদনা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বের নির্লজ্জ ইসরায়েলি কোর্ট এই রায় দেয় যে, তার মেয়েদের মৃত্যু নিয়ে ইসরায়েলের কোনরকম দায়ভার নেই। বরং তারা এ মর্মান্তিক ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক যুদ্ধজনিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’ হিসেবে বিবেচনা করতে চায়।
তারা অত্যাধুনিক কাটাতারের বেড়া দিয়ে সমগ্র গাযা উপত্যকাকে পুরো দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। তবে শত বাধা বিপত্তি, নিরন্তর মৃত্যু ও অনিরাপত্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজেদের স্বাধীনতা এবং কুদসের ইজ্জত রক্ষায় নিজেদের ইমান ও ইস্তেকামাতের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে প্রতিরোধ সংগ্রাম জারী রেখেছে- দুনিয়ার ‘উন্মুক্ত কারাগার’ খ্যাত গাযা উপত্যকা। আজ মানবতার মুক্তিকামী সম্প্রদায়ের সামনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে গাযার মাটিতে বেড়ে ওঠা দুঃসাহসী প্রজন্মগুলো।
তারপর ও আজ সমগ্র বিশ্বমানবতার নিশ্চুপ অবয়বের সামনে মাথা কুটে মারা যাচ্ছে গাযাবাসীর ন্যুনতম মানবাধিকার সংরক্ষণের ক্ষীন আবদারটুকুও।
গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ ৪র্থ বারের মতো গাজা- ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হয়। যা প্রথমবারের মতো গাজার মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যদিয়ে শুরু হয়।
সময় এখন মুসলিম উম্মাহর জেগে ওঠার। গাযা সহ সমগ্র ফিলিস্তিনে অবৈধ দখলদার অভিশপ্ত ইসরায়েলিদের শোষণ থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করা। উম্মাহর কর্তব্য হলো, উম্মাহর মূল রূহ, তথা ভ্রাতৃত্ব ও জিহাদের চেতনায় উজ্জীবীত হয়ে বিশ্বমানবতার মুক্তির ডাক দেয়া।
তামাম পর্যালোচনা করার পরে বাংলা ভাষি মুসলিম যুবসমাজের প্রতি প্রশ্ন হলো- বৈশ্বিক অত্যাচার, সন্ত্রাস ও শোষণের বিরুদ্ধে এখনও কি আমরা জাগ্রত হবোনা?
লেখক : হিশাম আল নোমান।