মুসলিম পোর্ট

ঘৃণিত বেলফোর ঘোষণার ১০৬ বছর!

বৃটিশ জানয়বাদ কর্তৃক এই শতাব্দির সবচেয়ে বড় শোষণ ও দস্যুবৃত্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবস এই বেলফোর ডিক্লেয়ারেশন! আজ থেকে ১০৬ বছর পূর্বে ওমর রাঃ কর্তৃক বিজিত মুসলিমদের প্রথম কিবলা স্থল বায়তুল মা ক দি স অঞ্চল ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নীলনকশা হিসেবে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের অনুমোদনে একটি ঘোষণা দেওয়া হয়।

সেসময়ের ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোর
এ ঘোষণা দিয়েছিলো বলে একে ‘বেলফোর ঘোষণা’ বলা হয়।

আর্থার বেলফোর ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য একটি আবাসভূমি গড়ে তোলার পক্ষে ব্রিটিশ সরকারের সমর্থন জানিয়ে তৎকালীন ব্রিটেনের ইহুদি নেতা ব্যারন রথসচাইল্ডের কাছে ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর একটি চিঠি প্রদান করে এবং জায়নিস্ট ফেডারেশন অব গ্রেট ব্রিটেন অ্যান্ড আয়ারল্যান্ডর কাছে চিঠিটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য রথসচাইল্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই চিঠির ভাষ্যই ইতিহাসে ‘বেলফোর ঘোষণা’ নামে পরিচিত।

এই মহা কলঙ্কপূর্ণ ঘোষণাটির ১০৬ বছর পূর্তি হলো। ফিলিস্তিনিরা প্রতিবছর দিনটিকে ‘কলঙ্কিত দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকেন।

মূলত, এই ঘোষণার জেরেই ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা হরণ করে জোরপূর্বক ইজরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম দেয় পশ্চিমা বিশ্ব। তখন থেকে ই স রা য়ে লে র হাতে নিষ্পেষিত, নিপীড়িত ও নিগৃহীত হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এখন তো নিজ ভূমেও পরবাসী তারা। বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জাতিও বলা হয় ফিলিস্তিনিদের।

প্রশ্ন হলো- দখলদার ইজরায়েল রাষ্ট্র জন্ম দেওয়ার এই ঘোষণাটি কি এক রাতেই তৈরি করা হয়েছিল, নাকি এর পেছনে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুদীর্ঘ ষড়যন্ত্র ছিল?
এই প্রশ্নের উত্তর- হ্যাঁ!

যার স্পষ্ট প্রমাণ-ই কলঙ্কিত এই বেলফোর ঘোষণা!