মুসলিম পোর্ট

মানুষের কর্মকাণ্ড বদলে দিচ্ছে প্রকৃতিকে, তাতে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা, বদলে যাচ্ছে জলবায়ু।  আর তাতে মানুষের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই হুমকির মুখে পড়ছে।

এভাবে চলতে থাকলে এই পৃথিবীর তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যাবে যে মানুষের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে।  

একদিকে বাড়বে খরা, অন্যদিকে বরফ গলে উঁচু হতে থাকবে সমুদ্রপৃষ্ঠ। তাতে তলিয়ে যাবে বহু নিচু এলাকা। চরম আবহাওয়াই তখন হয়ে উঠবে স্বাভাবিক নিয়ম।  

কেবল মানুষ নয়, এই পৃথিবীর বহু প্রাণের জন্যই নেমে আসবে বিপর্যয়।   

মানুষের কর্মকাণ্ডই মানুষকে অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু এর সমাধান কী?

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মানুষ যা যা জানতে পেরেছে, তা সংক্ষেপে, সহজ করে তুলে ধরা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মানুষ যা যা জানতে পেরেছে, তা সংক্ষেপে, সহজ করে তুলে ধরা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

কীভাবে বদলায় জলবায়ু?

কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় কোনো নির্দিষ্ট সময়ে বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতিই হল আবহাওয়া। বাতাসের উষ্ণতা, আর্দ্রতা, বায়ু চাপ, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ-বৃষ্টির পরিসংখ্যান দিয়ে আবহাওয়ার পরিস্থিতি বোঝানো হয়। আর কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে বলা হয় জলবায়ু।

আবহাওয়ার ওই গড় অবস্থা বদলে যাওয়া মানে হল, জলবায়ু বদলে যাচ্ছে।

মানুষ এখন জলবায়ুতে যে দ্রুত পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে, তার মূল কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। মানুষ খনি থেকে তেল, গ্যাস আর কয়লা তুলছে, তা ব্যবহার করছে শক্তি উৎপাদনের জন্য। এসব জ্বালানি দিয়েই কারখানা আর যানবাহন চলছে, ঘরে ঘরে চলছে সব বৈদ্য্যুতিক সরঞ্জাম।   

শক্তি তৈরির জন্য জীবাশ্ম জ্বালানি যখন পোড়ানো হয়, সেখান থেকে বাতাসে মেশে বিভিন্ন কার্বন গ্যাস, এর বেশিরভাগটাই কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)।

এসব গ্যাস সূর্যের আলো থেকে তাপ ধরে রাখে। ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন গ্যাস যত বাড়বে, পৃথিবীর তাপমাত্রাও বাড়তে থাকবে।