মুসলিম পোর্ট

গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া একটি স্কুলে রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়েছে দখলদার ইজরায়েলি বাহিনী। মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের তথ্য মতে গণহত্যা পরিচালিত করা এই বাহিনীর বোমা হামলায় নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে ইজরায়েলকে মার্কিন অস্ত্র ও সরঞ্জাম কিনতে আরো ৩৫০ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুদ্ধ সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্র।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানায়, দারাজ জেলার আল-তাবিন স্কুলে অন্তত তিনটি বোমা নিক্ষেপ করে দখলদার ইজরায়েল।

স্কুলটিতে প্রায় ছয় হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। গাজার গণমাধ্যম কার্যালয় জানায়, স্কুলে নিক্ষিপ্ত একেকটি বোমার ওজন দুই হাজার পাউন্ড ছিল।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার সরকার এই হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হওয়ার খবর জানায়। এই মৃতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন তথ্যও মিলেছে। গাজার উদ্ধারকারী কর্মীরা বলছেন, এই হামলায় ৯৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের এক পরিচালক এই হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হওয়ার খবর জানান।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো যখন নতুন করে তোড়জোড় শুরু করেছে, তখন ইজরায়েলের এমন প্রাণঘাতী হামলা চালানোর খবর। স্কুলে হামলার নিন্দা জানিয়ে মিসর, জর্দান, সৌদি আরব ও ইরান একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে। তুরস্ক বলেছে এই হামলাকে মানবতার বিরুদ্ধে আরেকটি অপরাধ।

ইজরায়েলি হামলাকে জঘন্য রক্তাক্ত গণহত্যা বলেছে ফিলিস্তিনের বিরোধী গোষ্ঠী ফাতাহ। গত মাসে হামাসের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তারা। এই হামলাকে গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ বলে নিন্দা করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল আবারও দেখিয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।

ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি আলী শামখানি বলেছেন, ইসরায়েল সরকারের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে ব্যর্থ করা এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। কাতার এই হামলাকে ‘ভয়াবহ গণহত্যা এবং অরক্ষিত বেসামরিকদের বিরুদ্ধে একটি নৃশংস অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

-সাদ সিদ্দিকী