দীর্ঘ ৬ বছর পর রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান ঘটলো ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে। এর ফলে ওমর আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের প্রশস্ত হলো জম্মু-কাশ্মীরে। আগামী ১৬ই অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিবেন তিনি।
এই বিষয়ে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,
ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৩৯ এবং ২৩৯A এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯ এর ধারা ৭৩ এর অধীনে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছিল ৩১ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে। বর্তমানে এটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের পরপরই কাশ্মীর থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়া হবে।
সাম্প্রতিক জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে ন্যাশনাল কনফারেন্স-কংগ্রেস জোট। বিজয়ী দল হিসেবে সরকার গঠন করতেও প্রস্তুত তারা। এতে করে জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লাহ। আগামী ১৬ই অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
🔺 ওমর আব্দুল্লাহ
২০০৯ সাল থেকে নেবেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন ওমর আবদুল্লাহ। সেই বছর কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠন করে ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মিরের তরুণ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ওমর আবদুল্লাহ। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন বিরোধী দলনেতা ছিলেন তিনি।
🔺 জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে পূর্ববর্তী জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা উপভোগ করেছিল দীর্ঘদিন। কিন্তু ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়। পাশ করা হয় জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন।
🔺রাষ্ট্রপতি শাসন জারি
ওই বছরই ৩১ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মিরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হয়। পরে জম্মু-কাশ্মিরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে (জম্মু ও কাশ্মির এবং লাদাখে) ঘোষণা করা হয়।
তবে, তার আগেই ২০১৭ সালের জুন মাসে যখন বিজেপি পিডিপি সরকার থেকে সমর্থন তুলে নেয় এবং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন মেহবুবা মুফতি, সেই সময় থেকেই কার্যত রাষ্ট্রপতির শাসন জারি ছিল জম্মু-কাশ্মিরে।
– রিপোর্টঃ তাহসীনুর রহমান